নাস্তিকের দর্শন ‘মুসলিম’ এর মাথায় – “পৃথিবীর যতো সমস্যার মূলে হচ্ছে ধর্ম”

0 minutes, 2 seconds Read

তুমি কি শুনেছো এই দর্শন একটা ‘মুসলিমে’ এর মুখ থেকে বের হয়?
তুমি কি দেখেছো সেই ‘মুসলিম’ যে দর্শন লালন করে তার মাথায়?
আহা! কি দর্শনে তুমি চলো, ও মুসলিম?
কার দর্শন তুমি তোমার মাথায় ভরেছো, ও মুসলিম?
তোমার রবের? তোমার স্রষ্টার?
নাকি যে নাস্তিক তোমার রবকে অস্বীকার করছে, তার?
নাকি যে কাফির তোমার রবের সম্পর্কে বিকৃত কথাবার্তা বলছে, তার?

এতো অতি স্বাভাবিক তোমার পক্ষে, কাফিরের দর্শন মাথায় নিয়েতো তুমিই চলবে।
কারন তোমার মাথায়তো তুমি ভরেছো কাফিরের পুস্তক। রাশি রাশি।
তোমার সময় তো হয়নি তোমার রবের পুস্তকখানি খুলে দেখার।
তোমার তো সময় হয়নি তোমার রবের দর্শন বোঝার।
অথচ তুমি বিশ্বাস করো সে তোমার রব।
অথচ তুমি বিশ্বাস করো সেই পুস্তক খানি তোমার রবের!
অথচ তুমি বিশ্বাস করো তোমার রব সর্বজ্ঞানী! আহা!
তুমিই আবার দাবী করো তুমি মুসলিম!

ও মুসলিম, ও আমার ভাই, তোমাকে একটা ছোট্ট উদাহরন দেই।
যদি তোমার রব চায়, তবে হয়তো এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট হতে পারে।
কারন তোমার রব তোমাকে ‘মগজ’ নামক একটা কঠিন যন্ত্র দিয়েছে।
সেই মহা মূল্যবান সম্পদকে তুমি অচেতনে কাফিরের অধিকারে দিয়ে দিয়েছো।
এখন শুধু সেই যন্ত্রটাকে তোমার নিজের অধিকারে আনতে হবে, এই যা।

দুই শিশু ভাই রঙের পছন্দ/অপছন্দ নিয়ে মারামারি করে।
দুই শিশু ভাই একজন আরেকজনকে বঞ্ছিত করে পুরোটুকু ভোগ করতে যেয়ে মারামারি করে।
তখন বাবা মাকে শাসন করতে হয় বদ সন্তানকে।
এই হচ্ছে মানুষ।
আর এই বদ মানুষেরে জন্যই পুলিশ, কোর্ট কাচারী, জেল, প্রশাসন।
যে মনে করে পৃথিবীটা হানাহানি মুক্ত হলে কতো সুন্দর হতো সে আসলে মানুষ সম্পর্কে কোন ধারনা রাখে না বলেই এই ফ্যন্টাসি লালন করে।

এদের অজ্ঞতা এদেরকে পোকা মাকড় তুল্য করে তোলে। (যে শিখছে তার কথা ভিন্ন)
কিছু মানুষ অন্যায় করবেই। আর কিছু মানুষকে ন্যায়ের জন্য দাঁড়াতে হবেই।
আর তখনই যুদ্ধ অনিবার্য।
এটাই বেসিক মানবিক মরালিটি।

যে মানুষের সত্যে এবং ন্যায়ের প্রতি ভালোবাসা নেই
যে মানুষের অন্যায় আর মিথ্যার প্রতি ঘৃণা নেই,
সে অবয়বে মানুষ হতে পারে, কিন্তু তার অবস্থান পোকা মাকড়ের নীচে।

আর মানুষের জন্য যখন আইন, বিচার ব্যবস্থা লাগবেই তাহলে, যে স্রষ্টা, আল্লাহ তাকে বানিয়েছে,
যে স্রষ্টা কোটি কোটি প্রানী এবং অপ্রানী বস্তকে ন্যায় বিচারের সঙ্গে পরিচালনা করছে,
তার আইন, তার চাইতে ন্যায় বিচার ব্যবস্থা আর কার হতে পারে?
আর সেই বিচার ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য যেই যুদ্ধ সেই যুদ্ধ্যের মতো ন্যায় যুদ্ধ আর কি হতে পারে?

ও ‘মুসলিম’, আল্লাহ, তোমার রব, তোমাকে হিদায়া (হেদায়াত) দান করুক।


Discover more from Basheera Wa Nazeera

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Similar Posts